চট্টগ্রাম বিভাগের খেলাধুলা:
বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগের মতোই চট্টগ্রাম বিভাগে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রচলিত প্রায় সব ধরণের খেলাধুলা প্রচলিত রয়েছে। এ বিভাগের ১১ টি জেলায় বিভিন্ন জনপ্রিয় খেলা যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, বিলিয়ার্ড, টেবিলটেনিস, এথলেটিক্স, স্নুকার, দাবা ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে।চট্টগ্রামের ঐতিহাসিকগণ অবশ্য বেশকিছু প্রাচীন খেলার কথা উল্লেখ করে থাকেন।এর মধ্যে রয়েছে বলীখেলা, গরুর লড়াই. তুম্বুরু, চুঁয়াখেলা, ঘাডুঘাডু, টুনি ভাইয়র টুনি, তৈইক্যা চুরি, হাতগুত্তি, কইল্যা, কড়ি, নাউট্টা চড়াই, ডাংগুলি, নৌকা বাইচ ইত্যাদি। এর মধ্যে জব্বারের বলীখেলা, কুস্তি এবং নৌকা বাইচ এখনও চালু আছে। তবে কালের বিবর্তনে প্রাচীন গ্রামীন খেলা যেমন, দাড়িয়াবাঁধা, গোল্লাছুট ইত্যাদি বিলুপ্ত হতে চলেছে।সে স্থান দখল করেছে ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি আধুনিক খেলাধুলা।চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক খেলোয়াড় তাদের ক্রীড়া নৈপুন্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে খ্যাতি লাভ করেছেন।তন্মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান ও সাবেক অনেক খেলোয়াড় এই চট্টগ্রামের সন্তান। আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, নাফিজ ইকবাল,তামিম ইকবাল, আফতাব আহমেদ প্রমুখ ক্রিকেটারগণ আমাদের চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান।
জাতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দের যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে। দেশের বাইরে থেকে সুনাম আনার ক্ষেত্রেও চট্টগ্রামের ক্রীড়াবিদদের অবদান উল্লেখযোগ্য। আইসিসি ট্রফি জেতা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দলনেতা ছিলেন আকরাম খান। কমনওয়েলথ গেমস থেকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম স্বর্ণপদক অর্জনকারী চট্টগ্রামের শুটার আতিকুর রহমান।
চট্টগ্রামের স্প্রিন্টার মোশাররফ হোসেন শামীম জাতীয় পর্যায়ে পরপর ৭ বার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে চ্যাম্পিয়ন হোন। এ কারণে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ দল যখন প্রথম বিশ্ব অলিম্পিকে অংশ নেয় তখন মোশাররফ হোসেন শামীম বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র ক্রীড়াবিদ ছিলেন।
এ বিভাগের স্টেডিয়ামসমূহঃ
এ বিভাগের প্রতিটি জেলায় একটি করে স্টেডিয়াম রয়েছেু যেখানে ফুটবল, ক্রিকেট সহ অন্যান্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সমূহ অনুষ্ঠিত হয়। তবে চট্টগ্রাম জেলায় রয়েছে দুটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম রয়েছে। এগুলো হচ্ছে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম (ফুটবল) এবং জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম (ক্রিকেট)।
ক্রীড়া সংস্থা সমূহঃ
বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলা পরিচালনা করার জন্য বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা রয়েছে। পদাধিকার বলে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি। তাছাড়া জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকগণ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি।
চট্টগ্রাম বিভাগের ঐতিহ্যবাহী খেলাসমূহঃ
জব্বারের বলীখেলা
চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে প্রতিবছরের ১২ই বৈশাখ তারিখে অনুষ্ঠিত কুস্তি প্রতিযোগিতা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কুস্তি বলীখেলা নামে পরিচিত। ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এই প্রতিযোগিতার সূচনা করেন।তার মৃত্যুর পর এই প্রতিযোগিতা জব্বারের বলী খেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। বলীখেলাকে কেন্দ্র করে লালদিঘী ময়দানের আশে পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে বৈশাখী মেলার আয়োজন হয়। এটি বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকার সবচেয়ে বৃহৎ বৈশাখী মেলা।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিনোদন
এই বিভাগের প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমী। এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটি সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক, চিত্রকলা প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও অনুষ্ঠানাদির আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে চলেছে। এ ছাড়াও প্রতিটি জেলাতে রয়েছে একাধিক সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠন, সিনেমা হল ও নাট্যমঞ্চ। প্রতি জেলাতেই রয়েছে এক বা একাধিক পার্ক ও পিকনিক স্পট। চট্টগ্রাম জেলায় নিম্নোক্ত বিনোদন ও পিকনিক স্পট রয়েছে
ঘ) বিনোদন :
১। জেলা শিল্পকলা একাডেমী
২। ফয়েজ লেক
৩। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
৪। পতেঙ্গা সী বীচ
৫। পারকি সী বীচ
ঙ) সিনেমা হল :
১। আলমাস
২। দিনার
৩। বনানী কমপ্লেক্স
৪। সিনেমা প্যালেস
৫। ঝুমুর
৬। ম্যালোডি
৭। সাগরিকা
৮। নেভী হল
৯। পূরবী
ফেনী জেলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম:
০১। জেলা শিল্পকলা একাডেমি
০২। আর্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
০৩। পূবালী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
০৪। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
০৫। ফেনী থিয়েটার
০৬। অনুরণন আবৃত্তি চর্চা
০৭। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠি
০৮। আবৃত্তি সংসদ
০৯। কবিতা নিকেতন
১০। নজরুল একাডেমি
১১। জাতীয় কবিতা পরিষদ
১২। জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ
১৩। ধুমকেতু সংগীত বিদ্যালয়
১৪। দিশারী সংগীত বিদ্যালয়
১৫। শ্রুতি আবৃত্তি অংগণ
কুমিল্লা শহরের নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের তালিকাঃ
নাট্য সংগঠনঃ
· যাত্রিক নাট্য গোষ্ঠী
· জনান্তিক নাট্য সম্প্রদায়
· সংযোগ নাট্য সম্প্রদায়
· উদয়ন নাট্য সম্প্রদায়
· অক্ষিনর নাট্য সম্প্রদায়
· কুমিল্লা থিয়েটার
সাংস্কৃতিক সংগঠনঃ
· কুমিল্লা কালচারাল কমপ্লেক্স
· নজরুল পরিষদ
· আলাউদ্দিন শিল্পী সংঘ
· উদীচি শিল্পী গোষ্ঠী
· তাষসী পরিষদ
· সেঁজুতি পরিষদ
· বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস