Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ব্যবসা বাণিজ্য

 

চট্টগ্রাম- বাংলাদেশেরবাণিজ্যিকরাজধানী

এটা অনস্বীকার্য যে একটা দেশের কাঙ্খিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্রুত প্রসারের জন্য সমুদ্র বন্দর পূবশর্ত যার মাধ্যমেই দেশের মূলতঃ সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটে।যে দেশের কোন সমুদ্র বন্দর নেই সেই দেশকে প্রচণ্ড বাধার সম্মুখীন হতে হয় আমদানি-রপ্তানী বাণিজ্যে।বেশিরভাগ বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য তারা পুরোপুরি অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল থাকে।প্রকৃত পক্ষে, একটি দেশের সুষম ও টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সমুদ্র বন্দরের ভূমিকাও গুরুত্ব অপরিসীম।এটা একটি দেশের অর্থনীতিতে প্রাণ শক্তির মত কাজ করে।নেদারল্যান্ড, সিংগাপুর ইত্যাদি দেশগুলো সমুদ্র বন্দরকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে।বাংলাদেশ ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে নেদারল্যান্ড ও সিংগাপুরের মত অর্থনৈতিক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর।চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ কেন্দে পরিণত হতে পারে।বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে।যার কারণে চট্টগ্রামে গড়ে উঠেছে প্রচুর শিল্প-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।এর মাধ্যমে ত্বরান্বিত হয়েছে,হয়েছে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন।এই অর্থনৈতিক গুরুত্বের কারনেই চট্টগ্রাম দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর মর্যাদা লাভ করেছে।

 অর্থনৈতিকগুরুত্ব

চট্টগ্রাম আমাদের দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং এর মধ্য দিয়েই সঞ্চালিত হয় দেশের অর্থনৈতিক জীবনীশক্তি।দেশের সর্বমোট রপ্তানী বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ভাগ সংঘটিত হয় চট্টগ্রামের উপর দিয়ে।অন্যদিকে আমদানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ হার  ৮০ ভাগ।রাজস্ব আয়েও চট্টগ্রামের ভুমিকা অপরিসীম।আমাদের মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ৬০ ভাগ আসে চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে।

 এক নজরে অর্থনৈতিক গুরুত্ব

চট্টগ্রামের মাধ্যমে রপ্তানী

:

দেশের মোট রপ্তানী বাণিজ্যের শতকরা ৭৫ ভাগ

চট্টগ্রামের মাধ্যমে আমদানী

:

দেশের মোট আমদানি বাণিজ্যের শতকরা ৮০ ভাগ

রাজস্ব আয় -এভূমিকা

:

মোট রাজস্ব আয়ের ৬০ ভাগের বেশী

জিডিপি-তে অবদান

:

১২%

সমুদ্রবন্দর

:

১টি

আন্তর্জাতিকবিমানবন্দর

:

১টি

ইপিজেড

:

৩টি

গার্মেন্টস

 

 

 

 

শিল্পপ্রতিষ্ঠান:

একনজরেশিল্পপ্রতিষ্ঠান

ভারীশিল্প

:

৩২৮টি

ক্ষুদ্রশিল্প

:

৪৩২৩টি

উল্লেখযোগ্যশিল্পপ্রতিষ্ঠান

:

 

পাটকল

:

২৪টি

সরকারীবস্ত্রকল

:

৫টি

সিমেন্টফ্যাক্টরী

:

১০টি

গার্মেন্টসওটেক্সটাইলফ্যাক্টরী

:

৬৪৭টি

ইপিজেড

:

৩টি( সরকারী১টিওবেসরকারী২টি)

তেলশোধনাগার

:

১টি

১০

রাবারবাগান

:

৮টি

১১

সারকারখানা

:

৩টি

১২

চাবাগান

:

২৩টি

১৩

চামড়াশিল্প

:

১৯

১৪

জাহাজ-ভাঙাশিল্প

:

৮০টি(প্রায়)

১৫

জাহাজনির্মাণশিল্প

:

৩০টি

১৬

বহুজাতিককোম্পানী

:

১২টি

১৭

বৈদেশিককোম্পানী(চট্টগ্রামেঅফিস)

:

৬২৮টি

 

কক্সবাজার জেলা :  

 

স্যশিল্পঃ

কক্সবাজার জেলায়  গ্রামীন কৃষিজীবি পরিবারের ১৮ শতাংশ ট্রলার অথবা নৌকায় করে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।এখানে আহরিত মাছ সারা দেশে সরবরাহের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানী করা হয়ে থাকে।অনেকে জীবিকার তাগিদে সাগর তীরে চিংড়ী মাছের পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।অর্থনৈতিক গুরত্ব সম্পন্ন স্বাদু ও নোনা জলের মৎস্য প্রজাতি সমূহ এ অঞ্চলে পাওয়া যায়।ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর চ্যানেলে মৎস্য প্রজাতির লালন, প্রজনন ও বিচরণ এলাকা।উল্লেখ্য যে, উক্ত এলাকার লবণাক্ত পানি মৎস্য চাষের জন্য উপযোগী।এ জেলার সাগর,মোহনা, খাল, নদী, বিল, খাঁড়ি থেকে ধান চাষের সময় এবং বর্ষাকালে প্রচুর মাছ ধরা হয়।বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষের মাধ্যমে দেশীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থান সম্ভব।

চিংড়িশিল্পঃ

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলীয় জমিতে ব্যাপক ভিত্তিতে চিংড়ি চাষ হয়।এখানকার উৎপাদিত বাগদা ও গলদা চিংড়ি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে ও রপ্তানি হচ্ছে।এই উদ্দেশ্যে স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠেছে চিংড়ি পোনা উৎপাদন শিল্প (হ্যাচারী) ও চিংড়ি জাত খাবার তৈরী শিল্প।এই শিল্পের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

লবনশিল্পঃ

বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে যতদূর জানা যায় পঞ্চদশ শতাব্দীতে কক্সবাজার জেলায় লবণ চাষ শুরু হয়।সপ্তদশ শতাব্দীতে ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানীর সহায়তায় এখানে বাণিজ্যিক ভাবে লবণ ব্যবসা বিকাশ লাভ করলেও অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইংরেজ সরকার এদেশে লবন উৎপাদন নিষিদ্ধ করে ইংল্যান্ড থেকে লবণ আমদানি শুরু করে।এরপর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালে উপকূলীয় জমি পরিষ্কার করে সাগরের পানি সূর্যে ও তাপে বাস্পীভবনের মাধ্যমে জনৈক ব্যক্তি নতুন করে লবণ চাষ শুরু করেন।উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৪৭ সালে কক্সবাজার সদর উপজেলার গোমাতলী মৌজাতে এক ব্যক্তি ১২০ একর জমি দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত নিয়ে লবণ চাষ শুরু করে ছিলেন।সে থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লবন উৎপাদনের যাত্রা শুরু হয়।লবণ চাষীরা সাধারণত দরিদ্র এবং অন্যের কাছ থেকে জমি নিয়ে লবণ চাষ করে।লবণ চাষী দের অধিকাংশ সাগরের তীরে কাছাকাছি এলাকায় বাস করে।এবং তাদেরকে প্রতিনিয়তই বৈরী প্রাকৃতিক পরিবেশ মোকাবিলা করতে হয়।বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজার জেলায় ৬৩,৫৩২ একর লবণ মাঠ রয়েছে। এই লবণ মাঠগুলো থেকে ২০০৪-২০০৫ সালে মোট ৯,৩৫,০০০ মেঃ টন লবণ উৎপাদিত হয়। উল্লেখযোগ্য যে, কক্সবাজার জেলার লবণ চাষীর সংখ্যা ৪৩ হাজার ৫০০ জন। বণের গুণগত মান উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিসিক পলিথিন পদ্ধতিতে লবন উৎপাদন শুরু করেছে। এই পদ্ধতিতে সনাতন পদ্ধতির তুলনায় ৩০% বেশী ও ধবধবে সাদা মানসম্মত লবণ উৎপাদিত হয়।

শুটকিশিল্পঃ

বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য চাষের পাশাপাশি জেলারমূলভূখন্ডওদ্বীপাঞ্চলেপ্রচুরপরিমানেশুটকিতৈরীকরাহয়।এরমধ্যেকক্সবাজারসদরউপজেলা, সোনাদিয়া, মহেশখালীওসেন্টমার্টিনঅন্যতম।শুকনোমৌসুমেজেলেরামাছেরজাতবিচারেওশুটকিতৈরীরউঠোন,জেটিসংলগ্নএলাকায়মাটিরউপরবাপাটিবিছিয়েবাবাঁশেরমাচায়রোদেদেয়।এইপদ্ধতিতেশুটকিমাছপোকামাকড়েআক্রান্তহয়।সাম্প্রতিকসময়েএখানেসোলারটানেলড্রায়ারপদ্ধতিতেশুটকিতৈরীশুরু হয়েছে।এসকলশুটকিদক্ষিণপূর্বএশিয়াওমধ্যপ্রাচ্যেরপ্তানিকরেবাংলাদেশমূল্যবানবৈদেশিকমুদ্রাঅর্জনকরছে।উল্লেখযোগ্যযে, বঙ্গোপসাগরেরআহরিতমাছের২৫-৩০শতাংশশুটকিতেপ্রক্রিয়াজাতকরাহয়।আহরিতমৎস্যজাতদ্রব্যযথাঃসার্কফীন, ফীসলিভারঅয়েল, এয়ারবস্নাডারইত্যাদিশুকিয়েপ্রচুরবৈদেশিকমুদ্রাঅর্জনকরাহয়।

 হস্তশিল্প

ঐতিহ্যগতভাবেকক্সবাজারহস্তশিল্পসমৃদ্ধ।আরাকানবংশোদ্ভূতরাখাইনরানানাবিধহস্তশিল্পেনিয়োজিত।এদেরতৈরীবিভিন্নরকমেরকাপড়, তৈরীপোষাক, তোয়ালে, ব্যাগইত্যাদিদেশেওবিদেশেব্যাপকভাবেসমাদৃত।এছাড়ারাখাইনদেরউৎপাদিতকাষ্ঠনিমির্তনর-নারীওপশুপাখিরনানারকমভাস্কয্য, ঝিনুকওশংখজাতসামগ্রীরবিশেষচাহিদারয়েছে।

 কাকড়া

রপ্তানীযোগ্যমৎস্যজাতপণ্যেরক্ষেত্রেচিংড়িরপরেকাকড়াদ্বিতীয়স্থানেআছে।কাকড়াআহরণওবিক্রিরমধ্যবর্তীপর্যায়েকাকড়ামোটাতাজাকরণপদ্ধতিজেলারকৃষিভিত্তিকঅর্থনীতিরউন্নয়নেবিপুলসম্ভাবনারসূচনাকরেছে।

 পর্যটনশিল্প

সৈকতনন্দিনীকক্সবাজারজেলাবাংলাদেশেরঅন্যতমপর্যটনএলাকা।প্রতিবছরএজেলায়দেশী-বিদেশীঅসংখ্যপর্যটকআগমনকরেন।এখানেরয়েছেবিশ্বেরদীর্ঘতমবালুকাময়সাগরসৈকতসহনানারূপদর্শনীয়ওপ্রত্নতাত্ত্বিকনির্দশন।পর্যটকদেরসুবিধাবৃদ্ধিরস্বার্থেসী-বীচম্যানেজমেন্টকমিটিগতপ্রায়৩বছরযাবৎনিয়মিতভাবেবিভিন্নঅবকাঠামোগতসুবিধাপ্রদানকরেছে।পর্যটনশিল্পকেকেন্দ্রকরেএখানেপাঁচতারকাবিশিষ্টহোটেলসহশতাধিকমোটেলস্থাপিতহয়েছে।এজেলায়পর্যটনশিল্পেরবিকাশেরফলেব্যাপককর্মসংস্থানেরসুযোগসৃষ্টিহয়েছে।

খনিজসম্পদ

১২০কিঃমিঃদীর্ঘসমুদ্রসৈকতেরবালিতেপ্রায়৮ধরণেরHeavy Mineralপাওয়াসম্ভব।বাংলাদেশেরউপকূলীয়অঞ্চলের১৭টিজায়গায়এইHeavy Mineralএরসন্ধানপাওয়াযায়।তন্মধ্যেকক্সবাজারসৈকত, মহেশখালী, টেকনাফ, ইনানী, বদরমোকাম, মাতারবাড়ীঅন্যতম।উল্রেখ্যযে, কক্সবাজারজেলায়১৯৬১সালেখনিজবালুরসন্ধানকাজশুরুহয়।পরবর্তীতে১৯৬৭সালেরদেশীয়ওঅস্ট্রেলীয়ভূতত্ত্ববিদেরএকটিদলপ্রায়একদশকযাবৎগবেষণাকরেদেখেনযে, কক্সবাজারেরপ্রায়১১৫৯বর্গকিঃমিঃএলাকাজুড়েরয়েছেজিরকন, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, কয়নাইট, মোনাজাইটএরমতমূল্যবানখনিজপদার্থ।এসবখনিজপদার্থপ্রক্রিয়াজাতকরাগেলেোতাদেশেরখনিজসম্পদবিকাশেরক্ষেত্রেউল্লেখযোগ্যঅবদানরাখবে।

বনজসম্পদ

কক্সবাজারজেলারপ্রধানবনাঞ্চলগুলোহলোফুলছড়িরেঞ্জ, ডুমুরিয়াঘোনারেঞ্জ, মেহেরঘোনারেঞ্জ, বাকখালীরেঞ্জইত্যাদি।এছাড়াইনানী, রামু, উখিয়াওটেকনাফএলাকায়াবনাঞ্চলআছে।এসকলবনভুমিতেউৎপাদিতপ্রধানপ্রধানবৃক্ষহলোসেগুন, মেহগণি, চাপালিশ, কেওড়া, বাইনইত্যাদি।চকরিয়াঅঞ্চলেরসুন্দরবনেপ্রচুরপরিমানেবাঁশ, বেত, মধু, মোমউৎপাদনসম্ভব।একইভাবেরামুররাবারবাগানসংরক্ষনেরমাধ্যমেদেশেররাবারশিল্পেরউন্নয়নেগুরুত্বপূর্ণভূমিকারাখবে।এছাড়াকুতুবদিয়াওমহেশখালীদ্বীপেরউপকূলীয়বনভূমিরক্ষারমাধ্যমেজ্বালানী, ঘরতৈরীরউপকরণবৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়প্রতিরোধওউপকূলীয়বাঁধরক্ষারপাশাপাশিমৎস্যচারণলালনএবংপ্রজননস্থানসংরক্ষণকরাসম্ভবহবে।

পানসুপারী

কক্সবাজারজেলারমহেশখালীউপজেলারমিঠাপানসুপ্রসিদ্ধ।জেলারপ্রায়সকলউপজেলায়ইপানওসুপারীচাষহচ্ছে।পাকিস্তানওমধ্যপ্রাচ্যেরদেশসমুহেএইমিঠাপানেরযথেষ্ঠকদররয়েছে।এইপানসুপরিকল্পিতভাবেচাষকরেউৎপাদনবৃদ্ধিওআধুনিকভাবেপ্রক্রিয়াজাতকরেবিদেশেরপ্তানীরমাধ্যমেপ্রচুরবৈদেশিকমুদ্রাঅর্জনেরপাশাপাশিকর্মসংস্থানেরসুযোগসৃস্টিরবিপুলসম্ভাবনারয়েছে।

বিদেশেকর্মসংস্থান

কক্সবাজারজেলারউল্লেখযোগ্যসংখ্যকব্যক্তিমধ্যপ্রাচ্যসহবিভিন্নদেশেনানাবিধকার্যোপলক্ষ্যেঅবস্থানকরছে।এতেবৈদেশিকমুদ্রাঅর্জনেরপাশাপাশিকর্মসংস্থানেরসুযোগউত্তরোত্তরবৃদ্ধিপাচ্ছে।

ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ারওযেএককালেউৎকৃষ্টমসলিনতৈরীহতোএকথাআজকেরমানুষেরকাছেবিশ্বাসযোগ্যহতেচাইবেনা।১৮৭৬খ্রীষ্টাব্দেরচিতডব্লিউ, ডব্লিউ, হান্টারের"স্যাটেস্টিক্যালএ্যাকাউন্টঅববেঙ্গল, ভলিউম-৬"-এউল্লেখরয়েছেযে, বিগতশতাব্দীরশেষপাদেব্রাহ্মণবাড়িয়ারসরাইলেতনজেবনামেরঅতিউৎকৃষ্টমসলিনবস্ত্রতৈরীহতো।এতনজেরঢাকারবিখ্যাতশবনমমসলিনেরসমকক্ষছিলবলেওউক্তগ্রন্থেবলাহয়েছে।তাছাড়া, আগেইবলাহয়েছে, কালীকচ্ছেউপমহাদেশেপ্রথমখদ্দরেরকাপড়তৈরীহতো।সেখানেকারখানাছিলদেশলাইওছুরি-কাঁচিতৈরিরও।

চলতিশতকেরগোড়ারদিকেআখাউড়া, আশুগঞ্জ, চান্দুরায়ইংরেজব্যবসায়ীরাজুটবেইলিংসেন্টারপ্রতিষ্ঠাকরেছিলেনবলে"ইর্স্টানবেঙ্গলডিস্ট্রিক্টগেজিটিয়ার্সটিপারা"-(রচনাকাল১৯১০খ্রী:)তেউল্লেখকরাহয়েছে।চান্দুরাএলাকায়উৎপন্নপাটপৃথিবীরশ্রেষ্ঠকোয়ালিটিরপাটবলেকথিতএবংতাশুধুকথারকথাইনয়, বৃটিশআমলেডান্ডিতেচান্দুরারপাটচান্দুরাপাটপরিচয়েখ্যাতিঅর্জনেসক্ষমহয়েছিল।

জেলারব্যবসাকেন্দ্রগুলোরমধ্যেব্রাহ্মণবাড়িয়াসদরশহর, আশুগঞ্জ, আখাউড়া, ফান্দাউক, চাতলপাড়, সিঙ্গারবিল, সিমনাবাজার, চান্দুরা, চইয়ারকুড়ি, পানিশ্বর, সাতবর্গ, নবীনগর, আজবপুর, রামচন্দ্রপুর, মানিকনগর, কুটি, বাঞ্ছারামপুরউল্লেখযোগ্য।রামচন্দ্রপুরেরলুঙ্গিওবাঞ্ছারামপুরেরতাতেঁরকাপড়বিখ্যাত।

তিতাসনদীরপাড়েপাড়েরয়েছেঅনেকগুলোইটখোলা।এসবইটখোলায়গ্যাস, কয়লাওজ্বালানিকাঠেপোড়ানোইটস্থানীয়চাহিদামিটিয়েচলেছে।

 সুতাকল:ব্রাহ্মণবাড়িয়াশহরেরউত্তরপ্রান্তেমেড্ডাগ্রামেকোকিলটেক্সটাইলমিলসনামেএকটিসুতাকলরয়েছে।এতে১৯৬৬সালেরজানুয়ারীমাসেউৎপাদনশুরুহয়।বর্তমানেএইটেক্সটাইলএরকার্যক্রমবন্ধরয়েছে।

বিসিকশিল্পনগরী:ব্রাহ্মণবাড়িয়াসদরথানারনন্দনপুরেএকটিবিসিকশিল্পনগরীরয়েছে।

সাইলো:আশুগঞ্জেএকটিখাদ্যশস্যসাইলোরয়েছে।তাছাড়াওজেলারবিভিন্নস্থানেরয়েছে৬টিখাদ্যগুদাম।

কুটিরশিল্প:কুটিরশিল্পেরমধ্যেবাঁশ-বেতেরতৈরীপণ্যসামগ্রী, পাটেরগড়িওশিকা, কাঠেরআসবাবপত্র, স্বর্ণালঙ্কার, লৌহজাতদ্রব্যওমাটিরহাড়িঁ-কলস, বাসন-কুসনউল্লেখযোগ্য।তবেএখানেজেলারএকমাত্রচরকাওকুটিরশিল্পসংলগ্নউত্তরপ্রান্তেরপৌরগ্রামমেড্ডায়বরিশালেরমাতুলালয়েজন্মগ্রহণকারীগোপালগঞ্জজেলারদেশহিতৈষীচিরকুমারবিশ্বরঞ্জনসেনকর্তৃক১৯৭৩সালের৩০শেজানুয়ারীস্থাপিতহয়।পশ্চিমজার্মানীরএইডবাংলাদেশকমিটিরএকলাখ৬০হাজারটাকাসাহায্যেরউপরনির্ভরকরেমাত্র২০জনসুতাকাটুনীনিয়েপ্রতিষ্ঠানটিরআনুষ্ঠানিকভাবেকাজআরম্ভহয়১৯৭৫সালের১৬ইডিসেম্বর।প্রতিষ্ঠাতারনিরলসপ্রচেষ্টাওত্রাণমন্ত্রণালয়, ওয়ার্ল্ডডিভিশন, রামকৃষ্ণমিশন, টেরেডেসহোমসএবংবিসিকসহবিভিন্নসরকারী-বেসরকারীদেশী-বিদেশীপ্রতিষ্ঠানেরসাহায্য-সহযোগিতায়এটাদেশেরকুটিরশিল্পেউল্লেখযোগ্যঅবদানরেখেচলেছে।এতে৫২টিতাঁত, কর্মচারীদেরবাড়িতে৫০টিসহমোট৭৫টিবাশেঁরচরকা, ৬০টিঅম্বরচরকাএবং৬০টিনলীববিনরয়েছে।রয়েছেকয়েকটিসেলাইমেসিনসহরংছাপেরব্যবস্থাও।এসবসহডেকেয়ারনার্সারীএবংঅন্যান্যমিলিয়ে২১৯জনশ্রমিককর্মচারীরয়েছেএতে।নারী-পুরুষনির্বিশেষেগরীবকর্মচারীদেরঅন্নসংস্থানেরমাধ্যমহিসাবেঢেঁকিওইটভাঙ্গারকাজেরব্যবস্থাওএখানেহয়েথাকে।ব্যবস্থারয়েছেকর্মচারীদেরছেলে-মেয়েদেরকেঅক্ষরজ্ঞানদেরও।এমহতীপ্রতিষ্ঠানটিরসবচেয়েউল্লেখযোগ্যদিকটিহলো, এখানকারকর্মচারীরাএখানেইট্রেনিংপ্রাপ্তহয়েথাকেন।৩২একরজমিরউপরপ্রতিষ্ঠিতচরকাওকুটিরশিল্পপ্রতিষ্ঠানটিতেমার্কিনকাপড়, লেপ-তোশকেরকাপড়, চাদর, বিছানারচাদর, বেডকভার, পর্দারকাপড়, টেবিলক্লথ, তোয়ালে, লুঙ্গিওগামছাতৈরীহয়েথাকেএবংএসবকাপড়েরবিক্রয়কেন্দ্রওরয়েছেপ্রতিষ্ঠানটিঅভ্যন্তরেই।প্রতিষ্ঠানটিরকিছুকিছুউন্নতমানেরকাপড়দেশেরসীমাছাড়িয়েনিউজিল্যান্ডওপশ্চিমজার্মানীরমতোশিল্পোন্নতদেশেওরপ্তানিহয়েথাকে।

রাধিকারটুপি:এটুপিশিল্পওউল্লেখযোগ্যদাবিদার।ব্রাহ্মণবাড়িয়াশহরথেকেপাঁচমাইলদক্ষিণেঅবস্থিতসদরথানাররাধিকানামেরগ্রামটিতারবাসিন্দাদেরহাতেরকাজেরপারদর্শিতারগুণেবিশিষ্টতাঅর্জনকরেছে।প্রায়২০০বছরধরেএগাঁয়ের১০০বেশীপরিবারেরঅনেকগুলোনিপুনহাততালেরডায়গাআরজালিবেতেরআঁশদিয়েটুপিতৈরীকরেআসছে।বছরেচারমাসএকাজেনিয়োজিতথাকেনতারা।তাছাড়াএশিল্পকর্মরাধিকাগ্রামেরক্ষুদ্রগন্ডিঅতিক্রমকরেব্রাহ্মণবাড়িয়াসদরথানারমেড্ডা, ভাদুঘর, জগৎসার, হাবলাউচ্চওচানপুরগ্রামগুলোতেওসম্প্রসারিতহচ্ছে।

 

তাপবিদ্যু

আশুগঞ্জতাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটিমেঘনানদীরতীরেঅবস্থিত।বিদ্যুৎউৎপাদনকেন্দ্রেরআয়তন৩১১একর।পশ্চিমজার্মানীথেকেআর্থিকসহায়তানিয়েএইবিদ্যুৎকেন্দ্রনির্মাণকরাহয়।ভবনসমূহেরনিমার্ণকাজশুরুহয়১৯৬৬সনেরমেমাসথেকে।১৯৬৮শেষদিকেশুরুহয়মূলযন্ত্রপাতিগুলোবসানোরকাজ।প্রথমইউনিটটি১৯৭০এর২৭শেজুলাইওদ্বিতীয়টি১১ইআগস্টচালুহয়।উভয়ইউনিটেরক্ষমতা৬৪০০মেগাওয়াটকরে।কেন্দ্রটিস্থাপনেরসময়েএইইউনিটগুলোরক্ষমতা১০০মেগাওয়াটকরেসম্পসারণেরব্যবস্থারাখাহয়েছিল।এছাড়াওদ্বিতীয়পর্যায়েএকটিঅতিরিক্তইউনিটেপ্রায়২০০মেগাওয়াটসম্প্রসারণেরব্যবস্থাছিল।

স্বাধীনতারপরেদেশেরবিদ্যুৎচাহিদাবেড়েযায়দ্রুতহারে।এচাহিদামেটানোরজন্যেআশুগঞ্জবিদ্যুৎকেন্দ্রেরসম্পাসারণেরসিদ্ধান্তনেয়াহয়দ্বিতীয়পঞ্চবার্ষিকপরিকল্পনায়।বিশ্বব্যাংকআর্থিকসহায়তারপ্রতিশ্রুতিদেয়এবংপ্রতিটি১৫০মেগাওয়াটক্ষমতারদুটোনতুনইউনিটবসানোরপরামর্শদেয়।পরবর্তীকালে৩য়ও৪র্থইউনিটস্থাপনেরজন্যেপ্রাপ্তঋণেরকিছুঅর্থথেকেযাওয়ায়বিদ্যুৎউন্নয়নবোর্ডএকইক্ষমতাসম্পন্নআরেকটিইউনিটস্থাপনেরসিদ্ধান্তনেয়।১৯৮৪সালেরমার্চে৩য়ও৪র্থইউনিটেরকাজশুরুহয়আর৫মটিরকাজশুরুহয়১৯৮৫এরনভেম্বরে।এইইউনিটতিনটিযথাক্রমে১৯৮৬এরডিসেম্বর, ৮৭এরমেএবং৮৮মার্চেচালুহয়।বর্তমানেআশুগঞ্জবিদ্যুৎউৎপাদনকেন্দ্রেরউৎপাদনক্ষমতা৭২৪মেগাওয়াট।এখানকারষ্টীমওগ্যাসউভয়ধরনেরটারবাইনেজ্বালানীহিসেবেতিতাসগ্যাসফিল্ডথেকেপ্রাপ্তপ্রাকৃতিকগ্যাসব্যবহারকরাহয়।

 আশুগঞ্জসারকারখানা

আশুগঞ্জফার্টিলাইজারকোম্পানীলিমিটেডদেশেরচালুসারকারখানাগুলোরমধ্যেদ্বিতীয়বৃহত্তমকারখানা।ইহাব্রাহ্মণবাড়িয়াজেলারআশুগঞ্জেমেঘনানদীরপূর্বপাড়েঅবস্থিতএকটিঅত্যাধুনিকসারকারখানা।আশুগঞ্জেসন্নিকটেব্রাহ্মনবাড়িয়ারতিতাসগ্যাসহইতেইউরিয়াসারেরপ্রধানউপাদানগ্যাসেরসহজলভ্যতাএবংসারাদেশেরসাথেরেল, সড়কএবংনদীপথেযাতায়াতওযোগাযোগব্যবস্থারসুবিধাবিবেচনাকরেসরকারআশুগঞ্জকেএকারখানানির্মাণেরস্থাননির্বাচনকরে।কারখানাটিবাস্তবায়নেরজন্যসরকার১৯৭৪সালেঅক্টোরবমাসেশিল্পমন্ত্রণালয়েরঅধীনআশুগঞ্জফার্টিলাইজারএন্ডকেমিক্যালকোম্পানীলিমিটেডনামেএকটিকোম্পানীগঠনকরে।১৯৮৩সনের১লাডিসেম্বরকারখানাটিরপরিচালনারভারবাংলাদেশকেমিক্যালইন্ডাষ্ট্রিজকর্পোরেশনেরঅধীনেন্যস্তকরাহয়।

১৯৭৬সালেকারখানারনির্মাণকাজশুরুহবারকথাছিল।কিন্তুমৃত্তিকাজটিলতাএবংআরওকিছুআনুষাঙ্গিকসমস্যারকারণেনির্মাণকাজশুরুকরতেপ্রয়দু’বছরবিলম্বঘটে।১৯৭৮সালেকারখানারপ্রকৃতনিমাণকাজশুরুহয়এবং১৯৮১সালেকারখানায়উৎপাদনআরম্ভহয়।বৃটেনেরফষ্টারহুইলারলিমিটেডকারখানাসাধারণঠিকাদারহিসাবেকাজকরে।বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইতাল,, পশ্চিমজার্মানী, ফ্রান্স, ভারত, অষ্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ডওকানাডাসহপৃথিবীরবহুদেশহতেকারখানারমেশিনপত্রইবংনির্মাণসামগ্রীআনাহয়।নির্মাণকালেপ্রায়২০০বিদেশীকারিগরসহদৈনিকপ্রায়৮,০০০(আটহাজার) লোককাজকরে।বিশ্বব্যাংক, এশীয়উন্নয়নব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্রেওআন্তর্জাতিকউন্নয়নসংস্থা, কে.এফ.ডব্লিউ(জার্মানী), ওভারসিজডেভেলপমেন্টমিনিষ্ট্রি(ইউ.কে), ইরান, সুইজারল্যান্ড, ইফাদ, ওপেকওইইসিপ্রকল্পেরজন্যঋণদানকরে।৩৫০.১৮কোটিটাকাদেশীয়মুদ্রাসহমোট৭৫৭.৭৪কোটিটাকাব্যয়েকারখানানির্মাণকরাহয়।

উৎপাদনক্ষমতাঃ

কারখানাটিরদৈনিকউৎপাদনক্ষমতা১৬০০মেট্রিকটনইউরিয়াএবং৯৩০মেট্রিকটনএ্যামোনিয়া।বার্ষিকউৎপাদনক্ষমতা৫,২৮,০০০মেট্রিকটনইউরিয়া।

পাদুকাশিল্প

ব্রাহ্মণবাড়িয়াজেলাশহরেরমধ্যপাড়াথেকেপীরবাড়িএলাকায়জুতাশিল্পেরছোটছোটকারখানাগড়েউঠেছেযাএঅঞ্চলেরমানুষেরপাদুকাচাহিদামেটানোরপরওদেশেরবিভিন্নঅঞ্চলেসরবরাহকরাহয়।এইসবশিল্পকারখানায়এঅঞ্চলেরমানুষেরকর্মস্থানসৃষ্টিরফলেএকদিকেযেমনবেকারসমস্যারসমাধানহচ্ছেঅন্যদিকেদক্ষজনশক্তিগড়েউঠছে।এসম্ভাবনাময়শিল্পটিকেপ্রয়োজনীয়সহায়তাকরাহলেভবিষ্যতেব্যপকপরিসরেবিস্তারলাভকরবে।

নৌযানশিল্প(অরুয়াইলপাকশিমূল),আশুগঞ্জচালেরমিলওলাকড়ি, লিচুওঅন্যান্যফলমূল, অর্কিডরপ্তানী(সরাইল)

 

চাঁদপুর জেলা :

চাঁদপুরেরব্যবসাবাণিজ্য

নদীগর্ভেবিলিনহওয়ানরসিংহপুরেস্থাপিতহয়চাঁদপুরথানাওঅফিসআদালত।তখনপদ্মা, মেঘনাওডাকাতিয়ানদীরসঙ্গমস্থলছিলবর্তমানস্থানথেকেপ্রায়৬০মাইলদক্ষিণে।নরসিংহপুরধীরেধীরেনদীগর্ভেবিলিনহয়।পদ্মা, মেঘনাতীরেধীরেধীরেবর্তমানচাঁদপুরপত্তনহয়।চাঁদপুর১৭৭৯সালেরেনেলেরমানচিত্রেত্রিপুরাজেলারসঙ্গেনরসিংহপুরেচাঁদপুরেরসঠিকঅবস্থানচিহ্নিতহয়।১৭৭৮সালেচাঁদপুরমহকুমায়রূপান্তরিতহয়।এরআগেথেকেইপদ্মা, মেঘনাওডাকাতিয়ারসঙ্গমস্থলেগড়েওঠাঐতিহাসিকচাঁদপুরবন্দরেরসুখ্যাতিসারাভারতেছড়িয়েপড়ে।চাঁদপুরশহরটিকেদুভাগেবিভক্তকরেডাকাতিয়ানদী।উত্তরপাড়েনতুনবাজারআরদক্ষিণপাড়েপুরাণবাজারগড়েওঠে।মূলপুরাণবাজারব্যবসারপ্রধানকেন্দ্রহিসেবেবহুলপরিচিত।চাঁদপুরযেএকটাপ্রাচীনতমব্যবসাকেন্দ্রতাইতিহাসসাক্ষ্যদেয়।কারণইতিহাসেআছে‘মনসামঙ্গল’ খ্যাতবিশিষ্টচাঁদসওদাগরসপ্তডিঙ্গা‘‘মধুকর’’ ভাসিয়েএনদীবন্দরেবাণিজ্যকরতেআসতেন।কোনকোনঐতিহাসিকেরমতেএইচাঁদসওদাগরেরনামঅনুসারেইএইবন্দরেরনামকরণকরাহয়চাঁদপুর।

প্রাচীনকালথেকেইচাঁদপুরঅন্যতমনদীবন্দরওঐতিহাসিকবাণিজ্যিককেন্দ্রহিসেবেখ্যাত।বৃটিশশাসনআমলেপাটব্যবসারজন্যচাঁদপুরেরসুনামসারাবিশ্বেছড়িয়েপড়ে।অবিভক্তবাংলারসিংহদ্বারহিসেবেচাঁদপুরেরখ্যাতিছিলসমধিক।পুরানবাজাকেকেন্দ্রকরেইচাঁদপুরেরব্যবসাবাণিজ্য।বৃটিশশাসনআমলেরপ্রথমথেকেইপুরাণবাজারএকটিবাণিজ্যকেন্দ্রহিসেবেগড়েওঠে।পুরাণবাজারেরপশ্চিমেমেঘনাওউত্তরেডাকাতিয়ানদী।ঐসময়নদীপথছিলবাণিজ্যেরএকমাত্রমাধ্যম।বৃটিশআমলেচাঁদপুরহয়েকলিকাতাযাতায়াতেরব্যবস্থাছিল।তখনচাঁদপুরকে  ‘Gate way to Eastern India’ বলাহতো।চাঁদপুরবাণিজ্যিককেন্দ্রহিসেবেসারাভারতবর্ষেসুপরিচিত।বাংলাদেশেরদ্বিতীয়বৃহত্তমনদীবন্দরওপ্রসিদ্ধব্যবসাকেন্দ্রহিসাবেচাঁদপুরবন্দরএইউপমহাদেশেরঅত্যন্তপরিচিতএকটিসফলনাম।দেশেরচতুর্মূখীযোগাযোগব্যবস্থারধারকদেশেরবিখ্যাতএবন্দরএকসময়পূর্ববাংলা-পশ্চিমবাংলাএবংসেভেনসিষ্টার্সনামেখ্যাতভারতবর্ষের  বিস্তীর্ণপাহাড়ীঅঞ্চলেরমধ্যে  ব্যবসায়িকযোগসূত্রওমেলবন্ধনতৈরিকরেযাচ্ছিল।  বহুকালআগেথেকেইচাঁদপুরেররূপালিইলিশবিশ্বব্যাপীসমাদৃত।এছাড়াএখানকারঅন্যান্যমাছ, চিংড়ি, ব্যাঙ  ইত্যাদিসুদূরইউরোপওআমেরিকাপর্যন্তরপ্তানিহয়।চাঁদপুরেরউল্লেখযোগ্যবাণিজ্যওশিল্পপ্রতিষ্ঠানেরমধ্যেরয়েছে- জুটমিল, লবণমিল, ডালমিল, তৈলমিল, ময়দামিল, আটারমিল, চাউলকল, চিড়াকল, কোল্ডষ্টোরেজ, বরফকল, স্বয়ংক্রিয়চাউলকল, ম্যাচফ্যাক্টরী, সাবানফ্যাক্টরী, সিনথেটিকরশিতৈরিরকারখানা, স-মিল, ইস্পাতমিল, নেটফ্যাক্টরীএবংআরওঅনেকছোটবড়শিল্পপ্রতিষ্ঠান।চাঁদপুরেপ্রতিমাসেপ্রায়দেড়হতেদুইহাজারকোটিটাকারবাণিজ্যিকলেন-দেনেরসরকারীরেকর্ডরয়েছে।এখানেঅনেকবিদেশীব্যবসায়ীদেরসমাগমঘটে।নাখোদারাএবংপাকিস্তানেরসেইবিখ্যাত২২পরিবারএবংভারতেরমারওয়ারীরাএখানেদীর্ঘদিনঅত্যন্তসুনামেরসাথেব্যবসাকরেছেন।বৃটিশশাসনআমলেচাঁদপুরপাটব্যবসারজন্যবিখ্যাতছিল।চাঁদপুরথেকেসরাসরিবিদেশেপাটরপ্তানিহতো।পাটব্যবসাকেন্দ্রগুলিপুরাণবাজারেগড়েওঠে।শিল্পবিস্তারেমরহুমওয়ালিউল্লাহপাটওয়ারী, সারদাবাবু, সরোজকুমারদাস, ইদ্রিছমজুমদার, বজলুলগণিচৌধুরী, চিত্তরঞ্জনরায়চৌধুরীরনামআজওশ্রদ্ধারসাথেস্মরণীয়।মেঘনা-ধনাগোদাওচাঁদপুর-হাইমচরসেচপ্রকল্প, এজেলায়কৃষিপণ্যউৎপাদনেওনতুনমাত্রাএনেদিয়েছে।চাঁদপুরেরয়েছেঅনেকগুলিলবণশোধানাগার।

দেশস্বাধীনহওয়ারপরপুরাণবাজারেরব্যবসাবাণিজ্যেরআরোপ্রসারঘটে।বাজারেরপরিধিওবাণিজ্যিকপ্রতিষ্ঠানঅনেকগুণবেড়েযায়।এসময়কিছুউৎসাহীব্যবসায়ীরউদ্যোগেচাঁদপুরশিল্পওবণিকসমিতিরপুনর্গঠিতহয়।সমিতিরসদস্যসংখ্যাওঅনেকবেড়েযায়।চাঁদপুরশিল্পওবণিকসমিতিশুধুএকটাব্যবসায়ীসংগঠনহিসেবেইনয়, এসমিতিচাঁদপুরেরএকটিঅন্যতমসমাজসেবামূলকপ্রতিষ্ঠানহিসেবেপরিণতহয়।সমিতিরসভাপতিজনাবমোঃজাহাঙ্গীরআখন্দসেলিমেরআন্তরিকপ্রচেষ্টায়বণিকসমিতি১৯৮৫সালে‘‘চাঁদপুরচেম্বারঅবকমার্সঅ্যান্ডইন্ডাষ্ট্রি’’ হিসাবেস্বীকৃতিপায়এবং১৯৯১সালে‘এ’ ক্লাশচেম্বারেউন্নীতহয়।তিনিইচাঁদপুরচেম্বারঅবকমার্সইন্ডাষ্ট্রিকেফেডারেশনেরঅন্তর্ভুক্তকরেনএবংনিজে   সপ্তমবারেরমতএফবিসিসিআইপরিষদেরপরিচালকনির্বাচিতহন।এখানেবিশেষভাবেউল্লেখ্যযে, পুরাণবাজারেরব্যবসায়ীরাচাঁদপুরশহরেরউন্নয়নেওসমাজসেবায়প্রশংসনীয়ভূমিকাপালনকরেআসছেন।১৯৪৬সালেচাঁদপুরকলেজপ্রতিষ্ঠায়পুরাণবাজারেরব্যবসায়ীদেরঅবদানস্মরণীয়।বলাযায়পুরাণবাজারেরব্যবসায়ীরাচাঁদাতুলেএকলেজপ্রতিষ্ঠাকরেন।এছাড়াচাঁদপুরমহিলাকলেজ, বি.ডিহল, টাউনহলনির্মাণেওতাঁদেরঅবদানরয়েছে।

১৯৬০সালথেকেমেঘনারকরালগ্রাসেনতুনবাজারওপুরাণবাজারভাঙ্গতেশুরুকরে।নদীভাঙ্গনেসবচেয়েবেশিক্ষতিগ্রস্তহয়পুরাণবাজারেরব্যবসায়ীবৃন্দ।ভাঙ্গনরোধেবণিকসমিতিসক্রিয়ভূমিকাপালনকরেন।এসমিতিভাঙ্গনরোধকরারজন্যবারবারসরকারেরদৃষ্টিআকর্ষণকরে।দীর্ঘদিনথেকেপুরাণবাজারব্যবসাবাণিজ্যসড়কযোগাযোগেরঅভাবেক্ষতিগ্রস্তহয়েছে।চাঁদপুর-শরিয়তপুরফেরীসার্ভিসপ্রবর্তনএবংঢাকা-পুরাণবাজার-চট্রগ্রামেরমধ্যেসড়কযোগাযোগস্থাপিতহওয়ায়চাঁদপুরেরব্যবসাবাণিজ্যেরপ্রসারঘটেছে।মাননীয়প্রধানমন্ত্রীশেখহাসিনানতুনওপুরাণবাজারেরমধ্যেএকটিব্রিজনির্মাণকরেদিয়েচাঁদপুরেরব্যবসা-বাণিজ্যেরসোনালীসম্ভাবনারদ্বারউন্মুক্তকরেদিয়েছেন।

নোয়াখালি জেলা :

শিল্পকারখানারদিকদিয়েনোয়াখালীঅতীতকালথেকেইঅবহেলিতএবংঅনগ্রসর।জনসম্পদেএজেলারঐতিহ্যথাকলেওশিল্পসহাপনেসরকারীওবেসরকারীতেমনকোনউদ্যোগনেইবললেইচলে।এজেলারইবহুঅধিবাসীদেশেরবিভিন্নসহানেবড়বড়শিল্পকারখানাসহাপনকরেছেন।অথচএজেলারজনগণকাজেরখোঁজেদেশ-বিদেশেহন্যহয়েবেড়াচ্ছে।এতঅনীহাএবংঅবহেলাসত্তেবওকিছুশিল্পকারখানাসহাপিতহয়েছে।নিমেণকিছুভারীশিল্পপ্রতিষ্ঠানএবংভবিষ্যৎসম্ভাবনাময়ীকিছুমৎসচাষপ্রকল্পেরসংক্ষিপ্তপরিচিতিউপসহাপনকরাহলোঃ

০১।    ডেল্টাজুটমিলসলিঃ

বৃহত্তরনোয়াখালীরঐতিহ্যবাহীডেল্টাজুটমিল্সলিঃ১৯৬২সালেপ্রতিষ্ঠিতহয়।১৯৭২সালেমিলটিজাতীয়করণকরাহয়।৫কোটিটাকারপুঁজিযাপ্রতিটি১০টাকাদরে৫০,০০,০০০সাধারণশেয়ারেঅমতর্ভুত্তুকরাহয়।৬০একরএলাকানিয়েমিলখানাচালুকরাহয়।প্রায়৫,০০০শ্রমিককর্মচারীএকারখানায়কাজকরারসুযোগপান।মালিক  শ্রমিকসম্পর্কেরজটিলতারকারণেদির্ঘদিনবন্ধথাকারপরমিলটিবর্তমানেপুনরায়চালুহয়েছে।মিলটিবর্তমানেবেসরকারীমালিকানাধীনেপরিচালিতহচ্ছে।

০২।   হাবিবভেজিটেবলপ্রোডাক্টসলিঃ

মেসার্সআলআমিনব্রেডএন্ডবিস্কুটস্ফ্যাক্টরীরউদ্যোত্তুাঅালহাজ্বহাবিবুররহমানেরবিশেষপ্রেরণায়তাঁরবড়ছেলেজনাবআনোয়ারমির্জারঅক্লামতপরিশ্রমওপ্রচেষ্ঠায়এবংতাঁরঅন্যান্যভাইজনাবসারোয়ারমির্জা, জনাবঅাত্তুারমির্জা, জনাবআজিজউল্যাওজনাবঅাফজলমির্জারসহযোগিতায়১৯৮৭সালেনোয়াখালীজেলারশহরেরমাইজদীবাজারেমেসার্সহাবিবভেজিটেবলপ্রোডাক্টসলিঃসহাপিতহয়।প্রাথমিকপর্যায়েব্যাংকেরঅর্থায়নএবংনিজেদেরঅর্থসহপ্রায়১২কোটিটাকারমূলধনব্যয়েপশ্চিমজার্মানীরসর্বাধুনিকপ্রযুত্তিুতেঅামতর্জাতিকমানসম্পন্নভোজ্যতেলশোধানাগারএবংবনস্পতিপ্রসতুতকারীএবৃহৎপ্রতিষ্ঠানটিপ্রায়৫একরভূ-সম্পত্তিরউপরসহাপিত।বৎসরেপ্রায়৫৪হাজারটনতৈলউৎপাদনেসক্ষমএপ্রকল্পে১৯৮৮সালথেকেউৎপাদনশুরতহয়েছে।এবৃহৎপ্রতিষ্ঠানটিতেবর্তমানে৩০০শ্রমিককর্মচারীনিয়োজিতথেকেজেলারবেকারসমস্যাসমাধানসহজাতীয়অর্থনীতিউন্নয়নেবিরাটঅবদানরাখছে।চেয়ারম্যানঅালহাজ্বহাবিবুররহমানএরমৃত্যরপরতাঁরউত্তরসূরীভাইসচেয়ারম্যানজনাবসারোয়ারমির্জা, ব্যবসহাপনাপরিচালকজনাবঅাফজলমির্জাসমন্বয়েপরিচালনাপর্ষদেরতত্তবাবধানেএবৃহৎপ্রতিষ্ঠানটিআর্থিকসমস্যাএবংলোকসানেরসম্মুখীনহলেতাঁদেরঅগ্রজজনাবআনোয়ারমির্জারনিকটপ্রতিষ্ঠানটিবিক্রিকরেদেন।সেথেকেঅদ্যাবধিউৎপাদনপ্রত্রিুয়াঅব্যাহতথাকলেওতাআজোকাঙ্খিতলক্ষ্যেপৌঁছেনি।

০৩।  মিনব্রেডএন্ডস্কিুটসলিঃ

মেসার্সআলআমিনব্রেডএন্ডবিস্কুটসফ্যাক্টরী১৯৭৬সালেনোয়াখালীজেলারকেন্দ্রসহলমাইজদীবাজারেসহাপিতহয়।মাইজদীবাজারসহজেলাশহরেরপ্রধানসড়কেরপশ্চিমপার্শ্বেঅবসিহতএককালেরঐতিহ্যবাহীমোহাম্মদীবিস্কুটফ্যাক্টরীএবংচৌমুহনীবাজারেসহাপিতমোসতফাবিস্কুটফ্যাক্টরীরমালিকআলহাজ্বজনাবহাবিবুররহমানেরপ্রেরণায়তাঁরইবড়ছেলেজনাবআনোয়ারমির্জারউদ্যোগেএবংঅক্লামতপরিশ্রমেব্যত্তিুমালিকানায়ব্যাংকঋণএবংনিজস্বঅর্থায়নেপ্রায়৪০লক্ষটাকাপুঁজিব্যয়ে১৯৭৭সালেমেসার্সআল-আমিনব্রেডএন্ডবিস্কুটফ্যাক্টরীর১মইউনিটেরউৎপাদনশুরতহয়।প্রায়২একরসম্পত্তিরউপরঅবসিহতআধুনিকপ্রযুত্তিতেনির্মিতএফ্যাক্টরীতেবর্তমানে৩ইউনিটেউৎপাদনচলছে।প্রতিদিনঅানুমানিক২০টনবিভিন্নউন্নতমানেরবিস্কুটউৎপাদনেসক্ষমএফ্যাক্টরীতেজেলারসহস্রাধিকশ্রমিককর্মচারীতথাপ্রায়১০হাজারপরিবারেরআর্থিকসংকটনিরসনেবিরাটঅবদানরাখছে।এফ্যাক্টরীরউৎপাদিতবিস্কুটস্সামগ্রীসমগ্রদেশেখ্যাতিলাভকরায়দিনদিনএরচাহিদাবাড়ছে।উত্তুপ্রকল্পটিসহাপনেঅন্যান্যসহায়তকারীউদ্যোত্তুযারাছিলেনতারাহলেনজনাবসারোয়ারমির্জা, জনাবঅাত্তুারমির্জাওঅাজীজউল্যাপ্রমুখ।

আল-আমিনগ্রতপেরচেয়ারম্যানজনাবমোঃানোয়ারমির্জানোয়াখালীজেলাশহরেরউপকণ্ঠেবিনোদপুরগ্রামে৩৩একরজমিসরকারথেকেলীজদিয়েপ্রথমেমেসার্সফারহানাটেক্সটাইলমিলস্লিঃসহাপনেপরিকল্পনানেন।পরেপ্রকল্পপরিকল্পনাপরিবর্তনকরেউত্তুসহানেকোমনপানীয়ওকারখানাসহাপনকরেন।বর্তমানেউত্তুপ্রকল্পচালুআছে।এতেনোয়াখালীজেলারকয়েকহাজারবেকারযুবকওযুবমহিলারকর্মসংসহানেরসুযোগহয়েছে।একইসাথেপ্রতিষ্ঠানটিজাতীয়অর্থনীতিতেবিশেষঅবদানরাখছে।

০৪।   গ্লোবএগ্রোফিশারিজলিঃ

এপ্রকল্পটিনোয়াখালীউপকূলীয়এলাকারঅন্যতমবড়প্রকল্প।প্রায়২২০একরভূ-সম্পত্তিরউপর৮৮টিপুকুরখননকরেএপ্রকল্পকাজশুরতকরেছে।নোয়াখালীজেলারসুবর্ণচরউপজেলারচরবাগ্গাতেসহাপিতএপ্রকল্পেরপ্রধানউদ্যোত্তুাজনাবমোঃহারতনরশীদওজনাবমোঃমামুনুররশীদ।

মৎস্যচাষেঅভিজ্ঞমহলেরধারণাএসকলপ্রকল্পপুরাপুরিবাসতবায়নএবংবাণিজ্যউৎপাদানেসফলহলেনোয়াখালীবাসীআর্থিকভাবেখুবউকৃতহবেনএবংজাতীয়অর্থনীতিতেএসকলউজ্জবলসম্ভাবনাময়প্রকল্পবিরাটঅবদানরাখবে।

০৫।    আল-আমিনফিশারিজলিঃ

এপ্রকল্পটিনোয়াখালীউপকূলীয়এলাকারঅন্যতমবড়প্রকল্প।প্রায়৩০০একরসম্পত্তিরউপরশতাধিকপুকুরখননকরেএপ্রকল্পকাজশুরতকরেছে।নোয়াখালীজেলারসুবর্ণচরউপজেলারহাতিয়াস্টিমারঘাটসংলগ্ণেসহাপিতএপ্রকল্পেরপ্রধানউদ্যোত্তুাজনাবআনোয়ারমির্জা।প্রকল্পটিমৎস্যউৎপাদনকরেজাতীয়অর্থনীতিতেবিরাটঅবদানরাখছে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা :

বান্দরবানপার্বত্যজেলারসম্ভাবনাময়শিল্পঃ

বান্দরবানপার্বত্যজেলাদূর্গমপাহাড়ীএলাকাহলেওএটিপ্রাকৃতিকসম্পদেসমৃদ্ধবিধায়জাতীয়পর্যায়েএজেলারগুরুত্বঅনস্বীকার্য।বিস্তীর্ণপাহাড়ীএলাকায়অবস্থিতঅশ্রেণীভূক্তবনাঞ্চলমূল্যবানকাঠওবনজসম্পদেপরিপূর্ণ।একইসংগেএজেলারউপরদিয়েপ্রবাহিতসাংগুওমাতমূহুরীনদীউৎপাদিতবনজসম্পদআহরণওবিপননেগুরুত্বপূর্ণভূমিকাপালনকরেআসছে।এজেলারউৎপাদিতপ্রধানবনজদ্রব্যেরমধ্যেসেগুন, গামারী, গর্জন, শিলকড়ই, তৈলসুরইত্যাদিমূল্যবানকাঠওবাঁশপ্রধান।কৃষিজদ্রব্যেরমধ্যেআনারস, কলা, পেঁপে, কমলা, লেবুওআলু। 

বান্দরবানপার্বত্যজেলায়কোনফলপ্রক্রিয়াজাতকরণপ্লান্টনেইএবংকোনহিমাগারওনেই।ফলেউৎপাদিতবিপুলপরিমাণকৃষিজাতপণ্যেরএকাংশস্থানীয়চাহিদাপূরণকরলেওঅধিকাংশইসমতলভূমিতেপরিবহনকরাহয়এবংকিছুকিছুযথাসময়েপরিবহনেরঅভাবেনষ্টহয়েযায়।বান্দরবানজেলাসদরেএকটিফলপ্রক্রিয়াজাতকরণপ্লান্টএবংএকটিহিমাগারস্থাপনকরাহলেএখানকারউৎপাদিতফলফলাদিযথাযথভাবেসংরক্ষণকরাসম্ভবহবে।এব্যবস্থাদেশেরপুষ্টিরচাহিদাপূরণএবংজাতীয়সম্পদসংরক্ষণেঅত্যন্তসহায়কভুমিকাপালনকরবে।

সাম্প্রতিকসময়েবান্দরবানপার্বত্যজেলায়তুলাচাষেরপ্রচুরসম্ভাবনাপরিলক্ষিতহচ্ছে।বিশেষতকুমিল্লাভ্যারাইটিতুলাউৎপাদনেরজন্যবান্দরবানেরমাটিঅত্যন্তউপযোগীবলেবিবেচিতহয়েছেবিধায়এখানেতুলাগবেষণাকেন্দ্রপ্রতিষ্ঠিতহয়েছে।বর্তমানেএইজেলায়১১,০০০একরজমিতুলাচাষেরআওতায়আনাহয়েছেএবংতাতেবাৎসরিক৬১০০০কেজি(১৬৪৮বেলআঁশতুলা) বীজতুলাউৎপন্নহয়।ইহাএকটিমূল্যবানজাতীয়সম্পদ।বান্দরবানপার্বত্যজেলায়সাম্প্রতিককালেরাবারউৎপাদনেরসম্ভাবনাক্রমাগতভাবেউজ্জ্বলতরহচ্ছে।রাবারবাগানসমূহেচাষশুরুহয়েছেএবংইতিমধ্যেবেশকিছুবাগানেরাবারউৎপাদনশুরুহয়েছে।এএলাকারউপযোগীসকলজমিতেরাবারউৎপাদনশুরুহলেতাবাংলাদেশেররপ্তানীক্ষেত্রেসম্ভাবনাময়ভূমিকাপালনকরবেবলেসবারধারণা।সাংগুনদীএকটিখরস্রোতানদী।এইনদীরউজানেবাঁধদিয়েজলবিদ্যুৎউৎপাদনেরবিপুলসম্ভাবনারয়েছে।তবেএতেস্থানীয়বাসিন্দাদেরক্ষয়ক্ষতিহতেপারে।এইবিষয়েইতিপূর্বেপ্রাথমিকজরীপচালানোরপরপরবর্তীতেসকলকার্যক্রমবন্ধরয়েছে।বিষয়টিপুনরায়বিবেচনায়আনাযেতেপারে।

পর্যটনশিল্পেরসম্ভাবনাঃ

মনোরমনৈসর্গিকদৃশ্যেরসমাহারওবৈচিত্র্যময়সাংস্কৃতিকউত্তরাধিকারসম্মৃদ্ধবান্দরবানপার্বত্যজেলাঠিকযেনছবিরমত।দেশেরসর্বোচ্চপর্বতশৃঙ্গসহসর্বত্রসবুজ-শ্যামলিমাগিরিশ্রেনীরএকঅপরূপদৃশ্যএজেলায়।ভারতওমায়ানমারএদুটিদেশেরআর্ন্তজাতিকসীমানায়অবস্থিতদেশেরসর্বাধিকসংখ্যকউপজাতিরবসবাসসম্বলিতএজেলাস্বকীয়বৈশিষ্ঠ্যেস্বাতন্ত্র্যমন্ডিত।বিশেষবিশেষস্থানগুলোতেসরকারীওবেসরকারীউদ্যোগেপ্রয়োজনীয়অবকাঠামোওপর্যটনকেন্দ্রনির্মিতহলেএজেলাদেশী-বিদেশীপর্যটকদেরকাছেএকটিঅন্যতমআকর্ষণীয়স্থানেপরিণতহতেপারে।

 

শিল্পওবাণিজ্য

শিল্পকারখানাঃ

০১।সাত্তারম্যাচওয়ার্কস্ঃ০২টি।

০২।আজিজউদ্দিনফ্যাক্টরী

০৩।বাংলাদেশবনশিল্পউন্নয়ণসংস্থা।

বান্দরবানপার্বত্যজেলারসম্ভাবনাময়শিল্পঃ

বান্দরবানপার্বত্যজেলাদূর্গমপাহাড়ীএলাকাহলেওএটিপ্রাকৃতিকসম্পদেসমৃদ্ধবিধায়জাতীয়পর্যায়েএজেলারগুরুত্বঅনস্বীকার্য।বিস্তীর্ণপাহাড়ীএলাকায়অবস্থিতঅশ্রেণীভূক্তবনাঞ্চলমূল্যবানকাঠওবনজসম্পদেপরিপূর্ণ।একইসংগেএজেলারউপরদিয়েপ্রবাহিতসাংগুওমাতমূহুরীনদীউৎপাদিতবনজসম্পদআহরণওবিপননেগুরুত্বপূর্ণভূমিকাপালনকরেআসছে।এজেলারউৎপাদিতপ্রধানবনজদ্রব্যেরমধ্যেসেগুন, গামারী, গর্জন, শিলকড়ই, তৈলসুরইত্যাদিমূল্যবানকাঠওবাঁশপ্রধান।কৃষিজদ্রব্যেরমধ্যেআনারস, কলা, পেঁপে, কমলা, লেবুওআলু। 

 

বান্দরবানপার্বত্যজেলায়কোনফলপ্রক্রিয়াজাতকরণপ্লান্টনেইএবংকোনহিমাগারওনেই।ফলেউৎপাদিতবিপুলপরিমাণকৃষিজাতপণ্যেরএকাংশস্থানীয়চাহিদাপূরণকরলেওঅধিকাংশইসমতলভূমিতেপরিবহনকরাহয়এবংকিছুকিছুযথাসময়েপরিবহনেরঅভাবেনষ্টহয়েযায়।বান্দরবানজেলাসদরেএকটিফলপ্রক্রিয়াজাতকরণপ্লান্টএবংএকটিহিমাগারস্থাপনকরাহলেএখানকারউৎপাদিতফলফলাদিযথাযথভাবেসংরক্ষণকরাসম্ভবহবে।এব্যবস্থাদেশেরপুষ্টিরচাহিদাপূরণএবংজাতীয়সম্পদসংরক্ষণেঅত্যন্তসহায়কভুমিকাপালনকরবে।

সাম্প্রতিকসময়েবান্দরবানপার্বত্যজেলায়তুলাচাষেরপ্রচুরসম্ভাবনাপরিলক্ষিতহচ্ছে।বিশেষতকুমিল্লাভ্যারাইটিতুলাউৎপাদনেরজন্যবান্দরবানেরমাটিঅত্যন্তউপযোগীবলেবিবেচিতহয়েছেবিধায়এখানেতুলাগবেষণাকেন্দ্রপ্রতিষ্ঠিতহয়েছে।বর্তমানেএইজেলায়১১,০০০একরজমিতুলাচাষেরআওতায়আনাহয়েছেএবংতাতেবাৎসরিক৬১০০০কেজি(১৬৪৮বেলআঁশতুলা) বীজতুলাউৎপন্নহয়।ইহাএকটিমূল্যবানজাতীয়সম্পদ।বান্দরবানপার্বত্যজেলায়সাম্প্রতিককালেরাবারউৎপাদনেরসম্ভাবনাক্রমাগতভাবেউজ্জ্বলতরহচ্ছে।রাবারবাগানসমূহেচাষশুরুহয়েছেএবংইতিমধ্যেবেশকিছুবাগানেরাবারউৎপাদনশুরুহয়েছে।এএলাকারউপযোগীসকলজমিতেরাবারউৎপাদনশুরুহলেতাবাংলাদেশেররপ্তানীক্ষেত্রেসম্ভাবনাময়ভূমিকাপালনকরবেবলেসবারধারণা।সাংগুনদীএকটিখরস্রোতানদী।এইনদীরউজানেবাঁধদিয়েজলবিদ্যুৎউৎপাদনেরবিপুলসম্ভাবনারয়েছে।তবেএতেস্থানীয়বাসিন্দাদেরক্ষয়ক্ষতিহতেপারে।এইবিষয়েইতিপূর্বেপ্রাথমিকজরীপচালানোরপরপরবর্তীতেসকলকার্যক্রমবন্ধরয়েছে।বিষয়টিপুনরায়বিবেচনায়আনাযেতেপারে।

পর্যটনশিল্পেরসম্ভাবনাঃ

মনোরমনৈসর্গিকদৃশ্যেরসমাহারওবৈচিত্র্যময়সাংস্কৃতিকউত্তরাধিকারসম্মৃদ্ধবান্দরবানপার্বত্যজেলাঠিকযেনছবিরমত।দেশেরসর্বোচ্চপর্বতশৃঙ্গসহসর্বত্রসবুজ-শ্যামলিমাগিরিশ্রেনীরএকঅপরূপদৃশ্যএজেলায়।ভারতওমায়ানমারএদুটিদেশেরআর্ন্তজাতিকসীমানায়অবস্থিতদেশেরসর্বাধিকসংখ্যকউপজাতিরবসবাসসম্বলিতএজেলাস্বকীয়বৈশিষ্ঠ্যেস্বাতন্ত্র্যমন্ডিত।বিশেষবিশেষস্থানগুলোতেসরকারীওবেসরকারীউদ্যোগেপ্রয়োজনীয়অবকাঠামোওপর্যটনকেন্দ্রনির্মিতহলেএজেলাদেশী-বিদেশীপর্যটকদেরকাছেএকটিঅন্যতমআকর্ষণীয়স্থানেপরিণতহতেপারে।

 

রাংগামাটি পার্বত্য জেলা :

অতীতেএতদঞ্চলেরঅর্থনীতিছিলজুমনির্ভর।জুমেসাধারণতধান, তুলা, তিল, ভূট্টা, আলু, মিশ, যব, বেগুন, লাউ, আদা, হলুদ, চালকুমড়া, মরিচ, পুঁইশাক, করলা, মেটেআলুইত্যাদিফসলউৎপন্নহতো।উৎপাদনেসিংহভাগনিজেরাইভোগকরতেন।সামন্যকিছুউদৃত্তস্থানীয়বাজারেবিক্রিকরাহতো।এরপাশাপাশিপাহাড়থেকেবনজসম্পদআহরণকরাহতোযাগৃহস্থালীরকাজেব্যবহৃতহতো।তারওকিছুঅংশচট্টগ্রামঅঞ্চলেপাঁচারকরাহতো।বর্তমানেজোটমালিকগণকর্তৃকউৎপাদিতবনজসম্পদএতদঞ্চলেরঅর্থনীতিতেগুরুত্বপূর্ণভূমিকারাখছে।এখানকারপ্রধানঅর্থকরীফসলহচ্ছেআদা, হলুদ, কচু, কাঁঠাল, আনারস, আম, কলা, মরিচ, পেঁপেঁ, সরিষা, কাজুবাদামইত্যাদি।তবেএখানেকোনহিমাগারনাথাকায়মৌসুমীফলমুলসংরক্ষণকরাসম্ভবহচ্ছেনা।ফলেকৃষকরানায্যমূল্যপ্রাপ্তিথেকেবঞ্চিতহচ্ছে।সরকারিকিংবাবেসরকারিপৃষ্ঠপোষকতাপেলেএতদঞ্চলেউৎপাদিতএসবফলজাতীয়অর্থনীতিতেউল্লেখযোগ্যঅবদানরাখতেপারতো।তাছাড়াএখানেকৃষিওবনজসম্পদনির্ভরশিল্প-কারখানাস্থাপনকরাসম্ভব।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা :

 

এজেলায়উল্লেখযোগ্যতেমনকোনশিল্পকারখানাগড়েওঠেনি।তবেঅপারসম্ভাবনারএইপাহাড়ীজনপদেরপ্রাকৃতিকসৌন্দর্য, অতিঊর্বরজমিকৃষিক্ষেত্রেসুপরিকল্পিতভাবেব্যবহারকরাগেলেএপার্বত্যজেলাঅর্থনৈতিকসমৃদ্ধিঅর্জনেরঅন্যতমপ্রধানহাতিয়ারহিসেবেপরিগণিতহতেপারে।