গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বিভাগীয় কমিশনার অফিস
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভার কার্যবিবরণী
সভাপতি : মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম
স্থান : চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষ
তারিখ : ২০ আগস্ট, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ
সময় : সকাল ১০.০০ টা
উপস্থিতি : পরিশিষ্ট-ক
সভাপতি সভার প্রারম্ভে উপস্থিত সদস্যগণকে স্বাগত জানিয়ে সভার কাজ শুরু করেন। আলোচনার শুরুতে সভাপতি নবযোগদানকৃত সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি, বান্দরবান কর্নেল এস. এম. অলিউর রহমান কে স্বাগত জানান। সভাপতি বিভাগের সার্বিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করে সকলের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।এরপর বিগত সভার কার্যবিবরণী পাঠ করে শোনানো হয়। বিগত সভার কার্যবিবরণীর আলোচনা ৬.১ নিম্নরূপ ভাবে সংশোধিত করা হয়ঃ
“চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভার সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত বিমানবন্দরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি ইউনিট স্থাপন না করে বন্দর সার্কেলের অধিক্ষেত্র পতেঙ্গা পর্যন্ত বিস্তৃত বিধায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বন্দর সার্কেল কাস্টমস অধিদপ্তর এর সাথে সমন্বয় করে কাজ করবেমর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।“
অতঃপর বিগত সভার কার্যবিবরণী দৃঢ়ীকরণ করা হয় এবং সভার নির্ধারিত আলোচ্যসূচি অনুযায়ী আলোচনা করা হয়।
১.আলোচ্য বিষয়
স্থল ও নৌ-পথে টহল, আটক ও মামলা
আলোচনা
জেলা টাস্কফোর্স ও সংস্থাসমূহ হতে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় জুলাই’১৪ মাসে ১৯,৬৩৭টি টহলের মাধ্যমে ২৬,৬৭,৯৪,৪১২টাকার মালামাল আটক করা হয়। জুন’১৪ মাসের তুলনায় জুলাই’১৪ মাসে টহলের সংখ্যা ১৬১৫টি বৃদ্ধি পেয়েছে তবে আটককৃত পণ্যের মূল্য ৩৯,৮৭,৭৮,৭৯৬টাকা হ্রাসপেয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক বিবেচ্য মাসে ৩৬৭জনকে আটক ও ৯৯৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে ফলপ্রসু অভিযান পরিচালনার ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর প্রধানদের অনুরোধ জানানো হয়।
১.১.সিদ্ধান্ত
চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রমকে বেগবান রাখার লক্ষ্যেটহল আরো বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্টসকলকে অনুরোধ করা হয়।
১.২. বাস্তবায়নে
সদস্য (সকল), আঞ্চলিক টাস্কফোর্স, চট্টগ্রাম
২. আলোচ্য বিষয়
চেক পোস্টে তল্লাশি, আটক ও মামলা
২.১.আলোচনা
বিবেচ্য মাসে ১,২০৪টি চেকপোস্টে ৫০,১৭৬টি যানবাহন তল্লাশি করে ৭,১১,২৪,৭২৪টাকার মালামাল আটক করা হয়। জুলাই’১৪ মাসে যানবাহন তল্লাশির মাধ্যমে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ১৪৬।বিগত মাসের তুলনায় বিবেচ্য মাসে তল্লাশির সংখ্যা ২০৮১টি বৃদ্ধি পেয়েছে তবে আটককৃত পণ্যের মূল্য ৪০,৮১,৭২,৭৮৩টাকা হ্রাসপেয়েছে। বিবেচ্য মাসে ৫৯জনকে আটক করা হয়েছে। চেকপোস্ট এবং তল্লাশিরসংখ্যা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির জন্য সভায় সংশ্লিষ্টসকলকে অনুরোধ করা হয়।
২.২. সিদ্ধান্ত
চোরাচালান প্রতিরোধে চেকপোস্টের সংখ্যা ও উদ্ধার কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়।
২.৩. বাস্তবায়নে
সদস্য (সকল), আঞ্চলিক টাস্কফোর্স, চট্টগ্রাম
৩. আলোচ্য বিষয়
আবাসিক স্থান/ব্যবসাস্থান/গুদাম ইত্যাদিতে পরিচালিত অভিযান,আটক ও মামলা
৩.১.আলোচনা
জুলাই’১৪ মাসে ৭০১টি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ৬৩,৬০,৮৯২টাকার মালামাল আটক করা হয়। বিগত মাসের তুলনায় বিবেচ্য মাসে অভিযানের সংখ্যা ১৬৪টি এবং আটককৃত পণ্যের মূল্য ২৫,৮৪,৭৪৫টাকা বৃদ্ধিপেয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক চোরাচালানের সাথে সংশ্লিষ্টতার দায়ে অভিযান পরিচালনাকালে ৭৮জনকে আটক ও ৬৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল বাহিনীকে অভিযান সংখ্যা আরো বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হয়।
৩.২.সিদ্ধান্ত
চোরাচালান নিরোধ কার্যক্রমকে কার্যকর ও গতিশীল রাখার লক্ষ্যেআবাসিক স্থান/ব্যবসাস্থান/গুদাম ইত্যাদিতে অভিযান বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হয়।
৩.৩.বাস্তবায়নে
সদস্য (সকল) ও আহ্বায়ক, আঞ্চলিক টাস্কফোর্স, চট্টগ্রাম। বিশেষতঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে অভিযান বৃদ্ধির বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
৪. আলোচ্য বিষয়
চোরাচালান প্রতিরোধে পরিচালিত (সকল ধরনের) অভিযান, আটকও মামলা
৪.১.আলোচনা
পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, জুলাই’১৪ মাসে ৪৬,৭২২টি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ৩৩,৫২,২৮,৮৪৮টাকার পণ্য আটক করা হয়। পক্ষান্তরেজুন’১৪ মাসে ৪৭,১৯৪টি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ৭১,৩৮,০৬,৫৪০টাকার পণ্য আটক করা হয়। বিগত মাসের তুলনায় বিবেচ্য মাসে অভিযান ৪৭২টি এবং আটককৃত পণ্যের মূল্য ৩৭,৮৫,৭৭,৬৯২টাকা হ্রাসপেয়েছে। এছাড়া এ সকল অভিযান পরিচালনায় বিবেচ্য মাসে৬২১জনকে আটক করা হয় এবং আটক ব্যাক্তি সংশ্লিষ্ট৫১৮টি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযান আরো বৃদ্ধির জন্য বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টসকল বাহিনী/সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়।
৪.২. সিদ্ধান্ত
চোরাচালান প্রতিরোধে সকল ধরনের অভিযান আরো বৃদ্ধির জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়।
৪.৩.বাস্তবায়নে
সদস্য(সকল), আঞ্চলিক টাস্কফোর্স, চট্টগ্রাম।
৫. আলোচ্য বিষয়
চোরাচালান (সকল ধরনের) মামলা নিষ্পত্তি
৫.১. আলোচনা
বিগত মাসের মামলার জের ১৭,৫৪৫ও বিবেচ্য মাসে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ৭১৫টি। বিবেচ্য মাসে মোট মামলার সংখ্যা ১৮,২৬০টি। তন্মধ্যে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ৩১১টি এবং পেন্ডিং মামলার সংখ্যা ১৭,৯৪৯টি। বিগত মাসের তুলনায় বিবেচ্য মাসে পেন্ডিং মামলা ৪০৪টি বৃদ্ধি পেয়েছে।
৫.২.সিদ্ধান্ত
জেলাপ্রশাসক(ফেনী, চাঁদপুর) দ্রুততম সময়ের মধ্যে চোরাচালান মামলা নিষ্পত্তি করার বিষয়ে সুপারিশ প্রেরণ করবেন। এ দুইটি সুপারিশ পাওয়ার পর সভাপতি এ বিষয়ে একটি সমন্বিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে সরকারের কাছে প্রেরণ করবেন।
৬.আলোচ্য বিষয়
চোরাচালান বিরোধীঅভিযানও মানব পাচার সংক্রান্ত
৬.১ আলোচনা
সেক্টর কমান্ডার বিজিবি, কক্সবাজার আলোচনায় অংশগ্রহণ করে জানান যে, সম্প্রতি মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কক্সবাজারের ধুমঘুম ও মারিচ্যা চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মাদক পাচার রোধকল্পে ধৃত আসামিকে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হয় কিনা জানতে চান। এ প্রসঙ্গে সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি কক্সবাজার মাদক পাচারকালে ধৃত আসামি কোন প্রক্রিয়ায় মোবাইল কোর্টের আওতায় নিয়ে আসা যায় তা সভায় জানতে চান। এ বিষয়ে সভাপতি মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় থেকে যে কোন সহযোগিতা প্রদানের জন্য জেলাপ্রশাসক, কক্সবাজার কে পরামর্শ দেন।
বান্দরবান জেলায় বিজিবি ব্যাটেলিয়ান স্থাপনের অগ্রগতি জেলাপ্রশাসক, বান্দরবান সভাকে অবহিত করেন। তিনি জানান যে, অধিগ্রহণের জন্য পূর্ব অনুমোদিত জায়গার স্থলে নতুন একটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে যে স্থানে কোন বিরোধ নেই। পূর্ব অনুমোদিত অধিগ্রহণের প্রস্তাব বহাল রেখেই তফসিল পরিবর্তন করেই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব মর্মে উপস্থিত সদস্যগণ একমত পোষণ করেন। নবযোগদানকৃত সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি, বান্দরবান জেলাপ্রশাসক, বান্দরবানের সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে সভাকে জানান। সভাপতি জেলাপ্রশাসক, বান্দরবানকে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন।
ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার, খাগড়াছড়ি জানান যে, বাবুছড়া ক্যাম্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত স্থানের বিদ্যালয়টিতে স্থানীয় শিশুদের যেতে কেউ কেউ বাধা দিচ্ছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ কয়েকটি গেট খুলে দিয়েছে। তিনি জানান যে, বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। ঐ বিদ্যালয়ে এখনো ১৪ টি পরিবার বসবাস করে বলে তিনি জানান।
আনসার ও ভিডিপির উপ-পরিচালক, চট্টগ্রাম সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে জানান যে, কক্সবাজার জেলায় টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে ১৫০ জন আনসারের সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। তারা উক্ত স্থানে অস্থায়ী কোম্পানি স্থাপন করে দায়িত্ব পালন করে। এ স্থানের আনসার সদস্যগণ লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রামের ব্যাটেলিয়ন থেকে মোতায়েনকৃত বলে এঁদের সঠিকভাবে পরিচালনা করা আনসার কর্তৃপক্ষের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে। সে কারণে তিনি সভার মাধ্যমে কক্সবাজারে আনসারের একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাটেলিয়ন স্থাপনের জন্য ১০ একর খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আরো জানান যে, নির্বাচন পূর্ব রাজনৈতিক সহিংসতার সময় অবরুদ্ধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ নির্বিঘ্ন রাখার স্বার্থে সীতাকুণ্ড অংশে অন্যান্য বাহিনীর সাথে ১৫০ জন ব্যাটেলিয়ান আনসার নিয়োগ করা হয়েছিল। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক বিবেচনায় উক্ত আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য তিনি সভাপতি কে অনুরোধ করেন। সভাপতি এ বিষয়ে জেলাপ্রশাসক, চট্টগ্রাম কে উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম এর সাথে পরামর্শক্রমে পর্যায়ক্রমে আনসার সদস্যদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
সভাপতি সম্প্রতি মায়ানমারের আরাকান রাজ্যে সংক্রমিত “ব্রেইন ফিভার” বাংলাদেশে যাতে সংক্রমিত হতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে বলেন। তিনি মায়ানমার থেকে এ রোগে সংক্রমিত কোন রোগী যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিজিবি কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের প্রতিনিধি জানান যে, সম্প্রতি সমুদ্র পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য অনেক সময় পাওয়া যায় না। সুনির্দিষ্ট তথ্য ব্যতীত বৃহৎ সমুদ্র অঞ্চলে টহলের মাধ্যমে অবৈধ মানব পাচার রোধ করা নৌবাহিনীর পক্ষে দুঃসাধ্য। এ জন্য তিনি জেলাপ্রশাসক, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বিজিবি’র কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে তা নৌবাহিনীকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন। এ প্রসঙ্গে সভাপতি জানান যে, সকল বাহিনী তৎপর হলে অবৈধ মানব পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবে। মানব পাচার প্রসঙ্গে জেলাপ্রশাসক, কক্সবাজার আলোচনায় অংশ নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, মানব পাচার কালে উদ্ধারকৃত ভিকটিমদের ভিকটিম হিসেবে বিবেচনা না করে আসামী হিসেবে অভিযুক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হলে মানব পাচার অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
৬.২ সিদ্ধান্তঃ
ক) জেলাপ্রশাসক, কক্সবাজার বিজিবির বিভিন্ন অভিযানকালে মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাপূর্বক যে কোন সহযোগিতা প্রদান করবেন।
খ) জেলাপ্রশাসক, বান্দরবান তাঁর জেলায় চলমান বিজিবির ব্যাটেলিয়ান স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া নিবিড় তদারকির মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করবেন।
গ) উপ-পরিচালক, আনসার ও ভিডিপি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ কক্সবাজার জেলায় আনসার ব্যাটেলিয়ন স্থাপনের জন্য জেলাপ্রশাসক, কক্সবাজার বরাবর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রস্তাব প্রাপ্তি সাপেক্ষে জেলাপ্রশাসক, কক্সবাজার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
ঘ) জেলাপ্রশাসক, চট্টগ্রাম উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম এর সাথে পরামর্শক্রমে সীতাকুণ্ড এলাকার আনসার সদস্যদের পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবেন।
ঙ) মায়ানমার থেকে “ব্রেইন ফিভার” সংক্রমিত কোন রোগী যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
চ) অবৈধ মানব পাচার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংশ্লিষ্ট কোন সংস্থার কাছে থাকলে তা নৌ-বাহিনী কে অবহিত করতে হবে।
৬.৩. বাস্তবায়নেঃ
সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি (সকল), জেলাপ্রশাসক(সকল), এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা।
৭. আলোচ্য বিষয়
সীমান্তবর্তী জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত চোরাচালান নিরোধ কমিটির সভা
৭.১.আলোচনা
বিভাগাধীন সীমান্তবর্তী জেলা টাস্কফোর্সসমূহ হতে প্রাপ্ত তথ্য পর্যলোচনায় দেখা যায় বিবেচ্য মাসে সীমান্তবর্তী চোরাচালান নিরোধ কমিটির ০৮টি জেলায় ০৮টি ও ২৬টি উপজেলায় ৩০টি এবং ৭২টি ইউনিয়নে ৭৯টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭.২. সিদ্ধান্ত
সীমান্তবর্তী জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চোরাচালান নিরোধ কমিটির অনুষ্ঠিত সভা যাতে ফলপ্রসূ হয় সে ব্যবস্থা নেয়ার এবং সভায় উপস্থিত থাকার জন্য জেলাপ্রশাসকগণকে অনুরোধ করা হয়।
৭.৩. বাস্তবায়নে
সদস্য (সকল), আঞ্চলিক টাস্কফোর্স, চট্টগ্রাম।
৮.১. সীমান্তের ০-১০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত ফিলিং স্টেশনসমূহের জ্বালানি তেল উত্তোলনের চিত্র
৮.২ আলোচনা
জুন’১৪ ও জুলাই’১৪ মাসে সীমান্তের ০-১০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত ফিলিং স্টেশনসমূহের জ্বালানি তেল (ডিজেল) উত্তোলনের চিত্র তুলনামূলক পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিগত মাসের তুলনায় বিভাগাধীন সীমান্তবর্তী সকল জেলায়ডিজেল উত্তোলন হ্রাসপেয়েছে। সকল জেলা হতে সীমান্তবর্তী (সীমান্তের ০-১০ কিলোমিটারের মধ্যে) ফিলিং স্টেশনগুলোর তালিকা পাওয়া গেছে।ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি তেল চোরাচালান হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত রাখার জন্য সভাপতি সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেন।
৮.৩ সিদ্ধান্ত
জ্বালানি তেল যাতে পাচার না হয় সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য সীমান্তবর্তী জেলাপ্রশাসকগণকে অনুরোধ জানানো হয়।
৮.৪ বাস্তবায়নে
সংশ্লিষ্ট জেলাপ্রশাসকবৃন্দ।
৯.৩. অন্তর্গামী প্রধান প্রধান পণ্যসমূহ
৯.৪ আলোচনা
বিবেচ্য মাসে অন্তর্গামী প্রধান প্রধান পণ্যসমূহ হচ্ছে- ভারতীয় হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, বিভিন্ন প্রকার মদ, বিয়ার, ঔষধ, মেন্দাগাছের ছাল, গুড়া রং, হিলডন বিষ, তামার তার, করেক্স সিরাপ, ব্যাগপাইপার, শাড়ি, কসমেটিক্স, তৈরি পোশাক, কিটনাশক, চিনি , ধনিয়া, ভিসিডি সেট, মোবাইল, হরলিক্স ও গোলমরিচ ইত্যাদি।
৯.৫ সিদ্ধান্তঃ
বিভিন্নপ্রকার মাদক দ্রব্য ও অস্ত্রশস্ত্র যাতে সীমান্তঅতিক্রম করে দেশের ভেতরে আসতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমুহ কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণ করবে।
৯.৩.৩.বাস্তবায়নে
সংশ্লিষ্ট সকল, আঞ্চলিক টাস্কফোর্স ও বিভাগীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম
১০.৪. বহির্গামী প্রধান প্রধান পণ্যসমূহ
১০.৪.১.আলোচনা
বিবেচ্য মাসে বর্হিগামী প্রধান প্রধান পণ্যসমূহ হচ্ছে- নাইলন রশি, মাছ, রসুন, বদনা, রাবার, বেগুন, ডিম, হাঁস, পানির পাম্প, থানকাপড়, মেলামাইন, এবং যানবাহন ইত্যাদি।
১০.৪.২.সিদ্ধান্ত
এ ধরনের পণ্য বিশেষ করে জ্বালানি তেল/সার যাতে সীমান্তঅতিক্রম করে দেশের বাহিরে যেতে না পারে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণ করতে হবে। সীমান্তএলাকায়যাতে কোন ধরনের পণ্য চোরাচালান হতে না পারে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে তৎপর থাকতে হবে।
৯.৩.৩.বাস্তবায়নে
সংশ্লিষ্ট সকল জেলাপ্রশাসক, সংশ্লিষ্ট (সদস্য) আঞ্চলিক টাস্কফোর্স, চট্টগ্রাম
অতঃপর মাদক পাচার রোধে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে সভায় আর কোন আলোচ্য বিষয় না থাকায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
-
(মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ )
বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম
ও
আহ্বায়ক
আঞ্চলিকটাস্কফোর্স, চট্টগ্রাম
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS